কিভাবে চুল লম্বা করা যায় - প্রাকৃতিকভাবে চুল লম্বা করার উপায়

আমরা সকলেই চাই আমাদের চুল লম্বা হোক। তবে দৈনন্দিন কাজের ভিড়ে এবং পরিচর্যার অভাবে সেটি হয়ে ওঠে না। চুল লম্বা থাকাটা শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয় এটি একটি ধৈর্য, যত্নবান, আর নিজের প্রতি মনোযোগ সম্পূর্ণ ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। নিয়মিত পরিচর্যা আর সঠিক খাদ্যাভ্যাসই পারে স্বাভাবিকভাবে চুলকে স্বাস্থ্যবান ও লম্বা করতে।

ছবি

স্বাভাবিক ভাবে প্রতিমাসে আধা ইঞ্চি চুল লম্বা হয়। এটা সত্য তবে সেটিকে ধরে রাখতে চাইলে সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। আমরা অনেকেই লম্বা চুলের স্বপ্ন দেখি কিন্তু সে অনুযায়ী কাজ করি না। একমাত্র সঠিক পরিচর্যায় পারে আমাদের চুলকে লম্বা করতে। নিচে কিছু পদ্ধতি তুলে ধরা হলো যেটিকে অনুসরণ করতে পারলে খুব সহজেই চুল লম্বা হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে চুল লম্বা করা যায় 

নিয়মিত পরিচর্যা করা

  1. চুল লম্বা করতে চাইলে সঠিক তেলের বিকল্প নেই। বাজারে এমন অনেক তেল  রয়েছে যেগুলোতে থাকা রাসায়নিক পদার্থ আমাদের চুলের ক্ষতি করে দেয়। তাই আমাদেরকে সঠিক তেল নির্বাচন করতে হবে। যেমন নারকেল  তেল, আমন্ড তেল বা কাস্টর ওয়েল নির্বাচন করা যেতে পারে। মাথার ত্বকে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন এবং চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরাণ্বিত করে।
  2. প্রতিসপ্তাহে ১-২ বার চুলে হেয়ার মাস্ক দিতে হবে। হেয়ার মাস্ক আমাদের অনেকের কাছে অপরিচিত একটি শব্দ হয়ে থাকতে পারে। সবার জন্য আমি বিষয়টি বিস্তাতে তুলে ধরছি। মূলত হেয়ার মাস্ক বলতে বুঝানো হয় ডিম, দই, মধু অথবা অ্যালোভেরা জেল এর মিশ্রণ কে চুলে লাগানো। এটি করার মাধ্যমে অল্পদিনের মধ্যেই চুল লম্বা হবে সাথে ঘন ও হবে।
  3. এছাড়াও আমরা আমলকি,মেথির পেস্ট, শিকাকাই ব্যবহার করতে পারি যা আমাদের চুল গজাতে প্রাকৃতিকভাবে সাহায্য করে।

চুলে হিট করা হতে বিরত থাকা

  1. অতিরিক্ত হিটে চুল স্ট্রেইট করলে চুল পড়ে যায়, চুলের গোড়া নষ্ট হয়ে যায়। তাই বারবার চুল স্ট্রেইট, কার্ল বা ব্লো ড্রাই হতে বিরত থাকতে হবে।
  2. রাসায়নিক ক্যামিকেল দ্বারা যেসকল ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয় যেমন রং, রিবন্ডিং ইত্যাদি চুলের স্বভাবিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই আমাদের এগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।

সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা

  1. আমাদের দেহের সু-স্বাস্থের জন্য যেমন সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। ঠিক তেমনি চুলের বৃদ্ধির জন্যও আমাদের সুষম খাদ্য গ্রহণ বজায় রাখতে হবে। সুষম খাদ্যের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, মাছ, বাদাম, শাক-সবজি, ফলমূল ইত্যাদি।
  2. এছাড়াও জিংক বায়োটিন এবং ভিটামিন-E চুলের জন্য খুবই উপকারী। দ্রুত চুল লম্বা করতে অনেক সাহায্য করবে এটি। তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে।
ছবি


নিয়মিত চুল কাঁটা 

  1. চুল লম্বা করার জন্য চুলের ডগা কাটা অত্যাবশক। এতে স্প্লিট এন্ডস দূর হয় এবং চুল সুস্থভাবে বেড়ে ওঠে। তাই প্রতি ২-৩ মাস অন্তর আমাদের ‍চুলের ডগা কাটতে হবে।


পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করা

  1. দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম দেওয়া এবং মানসিক চাপ কম রাখা। কেননা এটি যেমন  আমাদের শরীরের সুস্থতা ধরে রাখে তেমনি চুলেরও স্বভাবিক বৃদ্ধি ধরে রাখে।

সারসংক্ষেপ

পরিশেষে, আমরা যদি উপরিউক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারি তাহলে খুব সহজেই আমাদের মাথার চুল লম্বা হয়ে যাবে। তবে আপনার যদি হরমোনাল কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেটি অবশ্যই আগে নিজেকে চিহ্নিত করতে হবে এবং সনদ প্রাপ্ত চিকিৎসকের নিকট গিয়ে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে তার পরামর্শ অনুযায়ী আমল করতে হবে। আমি আশা করি উক্ত পদক্ষেপ গুলো অনুসরণের মাধ্যমে চুল লম্বা ও ঘন করা সম্ভব। এছাড়াও আপনার যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে মন্তব্য সেকশনে গিয়ে আপনার সমস্যাটি উল্লেখ করুন আমাদের কর্তৃপক্ষ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

BD Health Net এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪